সুনামগঞ্জ , বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন ছায়ানটে গাইবেন রণেশ ঠাকুর ও সোহেল রানা দোয়ারাবাজারে ট্রাকজটে করুণ মৃত্যু মায়ের কোলেই নিভে গেল নতুন প্রাণ সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবার হাওরে বিশ্ববিদ্যালয়! জমিয়তের অপরাংশের নেতা আব্দুল হাফিজ গ্রেফতার, সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন তাহিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ জনের কারাদণ্ড বিশ্বম্ভরপুরে টাস্কফোর্স অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ ক্ষোভ-শোক-প্রতিবাদে ফুঁসছে জনতা টাঙ্গুয়ার হাওরে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ট্যুরিজমে’ মনঃক্ষুণ্ণ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণের ঘটনার তদন্ত ও আইসিইউ চালুর দাবি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত তাহিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১৬ জনের কারাদণ্ড জামালগঞ্জে “হাওর বাঁচাও আন্দোলনের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ৩ দিন ধরে নিখোঁজ, নদীতে মিলল জমিয়ত নেতার মরদেহ সীমান্তে ২৩টি ভারতীয় গরু জব্দ দিরাইয়ে তিন ভাগে বিভক্ত বিএনপি শীঘ্রই একটি নির্দিষ্ট সময় হাওরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো অবৈধ স্থাপনা দিরাইয়ে বিএনপি’র শোভাযাত্রায় নেতাকর্মীদের ঢল

শাল্লায় ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ, কুশিয়ারা নদীর পাড় কেটে সাবাড়

  • আপলোড সময় : ২৭-০২-২০২৫ ১২:০৭:০০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০২-২০২৫ ১২:০৭:০০ পূর্বাহ্ন
শাল্লায় ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ, কুশিয়ারা নদীর পাড় কেটে সাবাড়
জয়ন্ত সেন :: শাল্লায় বাঁধে মাটি ফেলতে কাটা হচ্ছে কুশিয়ারা নদীর তীর। নদীর তীর কাটতে রীতিমতো ‘উৎসবে’ মেতে উঠেছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি। ইতোমধ্যে শতশত মিটার তীর কেটে ফেলা হয়েছে। এখনও চলমান রয়েছে নদীরপাড় কেটে সর্বনাশের কাজ। এযেন ‘খাল কেটে কুমির আনা’র মত অবস্থা। এদিকে পিআইসি বাঁধের সাইনবোর্ড লাগিয়ে গ্রাম রক্ষার জন্য কেউ তুলছে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু, কেউ কাটছে নদীরপাড়, কেউবা গভীর গর্ত ভারাট করতে গিয়ে পানির উপরেই ফেলছে বালুমিশ্রিত কাদামাটি। ২৬ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে উপজেলার ১১৩, ১১৪ ও ১১২ নং পিআইসির বাঁধ এলাকায় এমনই দৃশ্য দেখা গেল। পিটুয়ারকান্দি গ্রামের ওই ৩টি পিআইসির মাটি কুশিয়ারা নদীরপাড় কেটে আনা হয়েছে। গর্তের পানি নিষ্কাশন না করেই পানিভর্তি গর্তেই ১১৩নং পিআইসির কাজ চলছে। ফলে মাটির উপর পা ফেলতেই তুলতুলে অবস্থা। এখানেই শেষ নয়, পিআইসির নামে দেয়া হয়েছে খাল খনন প্রকল্পও। এসব প্রকল্পের এস্কেভেটর ও ড্রামট্রাকের ম্যানেজার মকবুল হোসেন বলেন, এখানে পানি ছিল। পানির উপর মাটি ফেলা হয়েছে। দেখেন না গাড়ির চাকা মাটি নিচে ঢুকে যাচ্ছে। এসওই বলেছে পানির উপর মাটি ফেলতে। তাড়াতাড়ি কাজ করার জন্য এমনটা করা হয়েছে। একই কথা স্বীকার করেছেন ১১৩ নং পিআইসির সভাপতি তাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব জালাল মিয়া। তারা ৩টি প্রকল্পের একসাথে কাজ করছেন বলে জানান। তবে ক্ষেত নষ্ট হবে বলে কুশিয়ারা নদীরপাড় কেটে মাটি আনা হচ্ছে বলে জানান, ১১৪ নং পিআইসির লোকজনও। ভেড়াডহর হাওর উপ প্রকল্পের আওতায় ওই ৩টি পিআইসির ১০৭৩ মিটার বাঁধ মেরামতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৮০লাখ টাকা। এসব প্রকল্পের এখন পর্যন্ত মাটির কাজই শেষ করা হয়নি। অন্যদিকে ১১৫ ও ৮৪ নং পিআইসির ভান্ডাবিল হাওর উপ প্রকল্পের আওতায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধে এই দুটি প্রকল্পে ৪মিটার বাঁধে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৭০লাখ টাকার উপরে। তবে এই বিপুল বরাদ্দ গ্রাম রক্ষার জন্য। সেখানে ফেলা হবে জিও ব্যাগ। কুশিয়ারা নদীর পশ্চিম দিকে রয়েছে ফয়েজুল্লাপুর গ্রাম। স্থানীয়রা বলছেন, গ্রাম টপকে তো আর পানি হাওরে প্রবেশ করবে না। তবে এই প্রকল্প কেনো? ফয়েজুল্লাপুর বাজার সংলগ্ন ৫ লাখ টাকার একটি ছোট প্রকল্প দিলেই চলে। পিআইসির নামে ৮৪নং প্রকল্পের সভাপতি প্রবীর চন্দ্র দাস পড়েছেন মহাবিপদে। গ্রাম রক্ষায় তাকে ব্যবহার করতে হয় ভিটবালু। ফলে নদী থেকে বালু তুলতে গিয়ে মার্কুলী পুলিশের হাতে আটক আছে তার মেশিন ও লোকজন। কীভাবে কাজ করবেন এনিয়ে চিন্তার যেনো শেষ নেই তার। আরেকদিকে ফয়েজুল্লাপুরস্থ ভান্ডাবিল হাওর উপ প্রকল্পের আওতায় ৮৫ এবং ৮৬ নং পিআইসির বাঁধের মাটিও আনা হচ্ছে কুশিয়ারা নদীরপাড় কেটে। এসব প্রকল্পের এক সদস্য বলছেন গত বছরও ১৫টি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আবার যেভাবে নদীর পাড় কেটে ফেলা হচ্ছে তাতে বর্ষায় আরও ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে যাবে। পিআইসির কাজের ধরণ ও পরিকল্পনা যেনো অনেকটাই লেজেগোবরে হয়ে গেছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা এসও রিপন আলী বলেন, এসব ডিসি কিছু ডিসি স্যারই বলে গেছেন। ডিসি স্যারের নির্দেশই সব হয়েছে। গর্তের পানি রেখে মাটি কাটে উপরে বাঁধ দেয়ার বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-২ নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, কুশিয়ারা নদীরপাড় কেটে মাটি কাটা ও পানির উপর মাটি ফেলার নির্দেশ দেয়ার কারণে এসওকে আমি তলব করবো। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, কে কোথা থেকে মাটি কাটবে তা আমি বলব কেন? আর তারা কোথা থেকে মাটি আনবে, কোথায় পিআইসি দেবে এটি তারা বুঝবে। পানির উপর মাটি ফেলে বাঁধ নির্মাণ বিষয়টি একটি টেকনিক্যাল বিষয়। আমি তো আর ইঞ্জিনিয়ার নই। আমার দায়িত্ব হচ্ছে বাঁধের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা। আমি তো অনেক জায়গা চিনিও না। মুসাপুর গ্রামের কৃষকরা জলাবদ্ধতার কারণে ফসল আবাদ করতে পারছিল না। আমি ওখানে তাদের চাহিদা মত খাল খননের জন্য একটি প্রকল্প দিয়েছি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
দোয়ারাবাজারে ট্রাকজটে করুণ মৃত্যু মায়ের কোলেই নিভে গেল নতুন প্রাণ

দোয়ারাবাজারে ট্রাকজটে করুণ মৃত্যু মায়ের কোলেই নিভে গেল নতুন প্রাণ